চকরিয়া, কক্সবাজার
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কটি কক্সবাজার জেলা সদর থেকে ৪৮ কিলোমিটার উত্তরে এবং চকরিয়া থানা থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে,কক্সবাজার জেলা সদরের দক্ষিণ বন বিভাগের ফাসিয়াখালি রেঞ্জের ডুলাহাজারা ব্লকে অবস্থিত।দূরপাল্লার যে কোন বাস, সৌদিয়া পরিবহন, এস.আলম পরিবহন, সেন্টমাটিন পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন, হানিফ পরিবহন,মর্ডাণ পরিবহনে করে কক্সবাজার যেতে হবে। আপনি চাইলে চট্টগ্রাম থেকেও যেতে পারেন। কক্সবাজার শহর থেকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা কিংবা মাইক্রোবাস অথবা পাবলিক বাসে করে যেতে পারেন সাফারী পার্কে।
Bangabandhu Sheikh Mujib Safari Park
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের অপরূপ লীলাভূমি কক্সবাজার জেলা।পাহাড়, পর্বত, ঝার্ন্নাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক বৈচিত্র দিয়ে ঘেরা এই জেলাটি।এই জেলার চকরিয়া উপজেলাতেই দুলাহাজারা সাফারী পার্ক অবস্থিত।এটি ১৯৮০-৮১ সালে হরিন প্রজনন কেন্দ্র হিসাবে চালু হয়েছিল।বর্তমানে এটি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য নানা রকম বুনো জীবজন্তুর নির্ভয় আবাস স্থল।
সাফারী পার্ক হলো সরকার ঘোষিত এলাকা যেখানে বণ্যপ্রানীদেরকে তাদের প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিপালন করা হয়।এর মধ্যে দেশী-বিদেশী বন্য প্রাণীর বংশবৃদ্ধি ও অবাধ বিচরণের সুযোগ থাকে এবং যাতে পর্যটকগণ পায়ে হেঁটে বা যানবাহনে ভ্রমণ করে টিকিটের বিনিময়ে শিক্ষা,গবেষণা ও চিত্তবিনোদনের সুযোগ থাকে।সাফারী পার্ক চিড়িয়াখানা থেকে ভিন্নতর।চিড়িয়াখানায় জীব-জন্তু আবদ্ধ অবস্থায় থাকে আর সাফারী পার্কে মুক্ত অবস্থায় বিচরণ করে।
দেখতে পাবেন:
কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পূর্ব পার্শ্বে ডুলাহাজরা রিজার্ভ ফরেষ্টে মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য সম্বলিত বনাঞ্চলে সাফারী পার্কটি অবস্থিত।এটি ১৯৮০-৮১ সালে হরিন প্রজনন কেন্দ্র হিসাবে চালু হয়েছিল।বর্তমানে এটি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য নানা রকম বুনো জীবজন্তুর নির্ভয় আবাস স্থল এবং ইকো-ট্যুরিজম ও গবেষণার পাশাপাশি বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।এর আয়তন ৯০০ হেক্টর।এখানে বুনো জীব জন্তুর অবাধ চলাফেরা পর্যটকগণ উপভোগ করতে পারেন।এই পার্কে তথ্য শিক্ষা কেন্দ্র, প্রাকৃতিক ঐতিহাসিক জাদুঘর,পরিদর্শন টাওয়ার এবং বিশ্রামাগার রয়েছে।কক্সবাজার জেলা সদর হতে উত্তরে পার্কটির দূরত্ব ৫০ কি:মি: এবং চকরিয়া সদর হতে দক্ষিণে ১০ কি:মি:।এর আয়তন প্রায় ৯০০ হেক্টর।
প্রাকৃতিক শোভামণ্ডিত নির্জন উঁচু নিচু টিলা,প্রবাহমান ছড়া,হ্রদ,বিচিত্র গর্জন এর মত সু-উচ্চ ঐতিহ্যবাহী প্রাকৃতিক বৃক্ষ চিরসবুজ বনের জানা-অজানা গাছ-গাছালি,ফল-ভেষজ উদ্ভিদ,লতার অপূর্ব উদ্ভিদের সমাহার ও ঘন আচ্ছাদনে গড়ে উঠেছে সাফারী পার্ক।এর ছায়া ঘেরা পথ,সবুজ বনানী, জানা-অজানা গাছের সারি, পাখি আর বানরের কিচিরমিচির সবকিছূ মিলিয়ে যেন এক অসাধারণ অনুভূতি।পথের ধারে উচু ওয়াচ টাওয়ারে দাড়িয়ে আপনি দেখতে পাবেন পুরো পার্কের সীমানা পর্যন্ত অপার সৌন্দর্য।পার্কের চারদিকে বেষ্টনী রয়েছে যাতে বন্যপ্রানী পার্কের বাইরে যেতে না পারে।পার্কের ভিতরে আভ্যন্তরীন বেষ্টনীও রয়েছে।আভ্যন্তরীন বেষ্টনীর ভিতরে বাঘ,সিংহ ও তৃণভোজী প্রাণী প্রাকৃতিক পরিবেশে বসবাস করে।শুধু তাই নয়, পুরো পার্কে দেখতে পাবেন বিভিন্ন প্রানীর ভাস্কর্য যা আপনাকে মুগ্ধ করবে।
সাফারী পার্ক সম্পর্কে অতি অল্প সময়ে এক পলকে এর বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে ধারনার জন্য রয়েছে প্রধান ফটকের বাম পাশে ডিসপ্লে ম্যাপ।পর্যটকদের পার্কের ভিতরে অনায়াসে বাঘ-সিংহসহ অন্যান্য প্রাণী পর্যবেক্ষণ করার জন্য পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, প্রহরা পোষ্ট রয়েছে।এখানে পার্কের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা আছে,আপনি চাইলে বাসে করে ঘুরে ঘুরে পুরো পার্কটি দেখতে পারবেন।তবে পায়ে হেটে পুরো পার্কটি ঘুরে দেখাই উত্তম।পার্কে ঢুকেই হাতের বামে ও ডানে দুটি রাস্তা চলে গেছে।বাম পাশের রাস্তা ধরে হাটা শুরু করলে পুরো পার্কটি ঘুরে আপনি অনায়েসেই ডান পাশের রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারবেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস