Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
মেদাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান- পর্যটন কেন্দ্র(ইকোট্যুরিজম)
স্থান

চকরিয়া, কক্সবাজার

কিভাবে যাওয়া যায়

যাতায়াত ব্যবস্থাঃ
মেদাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান পরিবেশ বান্ধব পর্যটন কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহসড়কের পাশেই অবস্থিত। ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে আসলে কক্সবাজারগামী বাসে করে সরাসরি স্পটেই (লোকাল নাম মেদাকচ্ছপিয়ার ঢালা) নামতে পারবেন। অথবা চকরিয়া বাস টার্মিনাল বা পুরাতন বাস স্টেশনে নেমে লোকাল গাড়িতে করে আসতে পারেন। এই রোডে মিনিবাস (চকরিয়া সার্ভিস) হাইয়েস, মাহিন্দ্রা ও ম্যাজিক গাড়ি যাতায়াত করে। দূরত্ব ১৭ কিলোমিটার এবং ভাড়া নিবে ২০-২৫ টাকা । আর কক্সবাজার থেকে আসলে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল হতে কক্সবাজার টু চকরিয়া সরাসরি বাস সার্ভিস (কক্স স্পেশাল সার্ভিস ও সরাসরি টেকনাফ-কক্সবাজার স্পেশাল সার্ভিস) রয়েছে। অথবা মিনিবাস (চকরিয়া সার্ভিস), হাইয়েস এ করেও আসতে পারেন। দূরত্ব ৪২ কিলোমিটার এবং ভাড়া সরাসরির ক্ষেত্রে ৬০ টাকা ও মিনিবাস, হাইয়েস ৪০ টাকা নিবে।

যোগাযোগ

 

আনন্দময় ভ্রমণকালে পরামর্শঃ
• তথ্য ও ‍নিরাপত্তার জন্য পেশাদার ইকোগাইড নিয়োগ করুন।
• ভ্রমণকালে ময়লা আবর্জনা ডাস্টবিনে/ঝুড়িতে রাখতে হবে।
• কোনরূপ খাবারের অংশ বা উচ্ছিষ্ট, প্যাকেট, খোসা বা পানির বোতল বনে ফেলে আসা যাবে না।
• জোরে শব্দ করা বা উচ্চস্বরে মাইক বাজানো যাবে না।
• রাতের বেলা অবস্থান করলে অস্বাভাবিক উজ্জ্বল আলো তৈরি করা যাবে না।
• পাখি বা বন্যপ্রাণী লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়া যাবে না কিংবা অন্য কোন প্রকারে এদের নিরাপদ অবস্থান ও চলাফেরায় বিঘ্ন সৃষ্টি করা যাবে না।
• বন্যপ্রাণী বা পাখি ধরা যাবে না বা এদের জীবন হুমকির মধ্যে পড়ে এমন কোন কাজ করা যাবে না।
• কোন গাছপালা, বন জঙ্গল বা লতা পাতার ক্ষতিসাধন করা যাবেনা।
• ভ্রমণকালে প্রতিটি দর্শনার্থী একজন প্রকৃতিপ্রেমীর মত বিনা উপদ্রবে প্রাকৃতিক রূপ উপভোগ করবেন এটাই প্রকৃতিবান্ধব পর্যটনের প্রত্যাশা।

যোগাযোগঃ
♤ আমাদের ফেসবুক পেইজ www.facebook.com/medakacchapianationalpark
♤ মিনহাজুল কবির
একাউন্টস এন্ড এডমিন এসিস্টেন্ট
মেদাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি
Facebook : www.facebook.com/minhazul Kabir.pekua
Email : minhaz.mknp@gmail.com
Mobile : 01824569853
♤ এস এম আবুল হোছাইন
সভাপতি,
মেদাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি
০১৭১০১০৬৮২৮
♤ সৈয়দ আবু জাকারিয়া
রেঞ্জ অফিসার, ফুলছড়ি রেঞ্জ ও
সদস্য সচিব, মেদাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি
০১৭১১০১০৯১৩
♤ মোঃ আব্দুল কাইয়ুম
সাইট অফিসার
নেকম-ক্রেল প্রকল্প, চকরিয়া, কক্সবাজার।
০১৮১৮৯০৮১৯৯, ০১৭৩৬৩৮৪৪৪৫

শহরের কোলাহল ছেড়ে প্রকৃতির সানিদ্যে কিছু আনন্দময় মুহূর্ত কাটাতে চাইলে আজই চলে আসুন আমাদের পরিবেশ বান্ধব পর্যটন মেদাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানে।

বিস্তারিত

আমাদের পরিবেশ বান্ধব পর্যটন (ইকোট্যুরিজম)

বিশ্বে দিন দিন ইকোট্যুরিজমের পরিধি বেড়েই চলেছে। আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদকে সুষ্ঠভাবে ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ইকোট্যুরিজমের উন্নয়ন সম্ভব। ইকোট্যুরিজম হচ্ছে কোন এলাকার স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ ও ব্যবস্থাপনায় পরিবেশ, প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি না করে প্রকৃতিকে উপভোগ করার এমন একটি দায়িত্বপূর্ণ ভ্রমণ যা ঐ এলাকার জনগণের ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কৃতির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না এবং স্থানীয় জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। ইকোট্যুরিজমে স্থানীয় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকায় তারা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয় এবং অর্জিত আয়ের একটি অংশ ঐ এলাকার পরিবেশের উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব পর্যটনের বিকাশে ব্যবহার হয়ে থাকে।

মেদাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানকে বাংলাদেশ সরকার ২০০৪ সালে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করেছে। বর্তমানে সরকার এটিকে ইকোট্যুরিজম স্কীমের আওতায় নিয়ে এসেছে। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের পক্ষে নেকম-ক্রেল প্রকল্প, দাতা সংস্থা ইউএসএইড এর আর্থিক সহায়তায় ইকোট্যুরিজম উন্নয়নে কাজ করছে এবং আগামী অর্থ বছরে বন বিভাগ চূড়ান্ত কাজ সম্পন্ন করবে। কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের কারণে উদ্যানটি উল্লেখযোগ্য। তা হলো: এটি শতবর্ষী গর্জন বাগানের জন্য বিখ্যাত। বাংলাদেশের কোথাও এত বড গর্জন বাগান নেই। এর আয়তন ৩৯৬ হেক্টর। এখানে প্রায় এগার হাজার গর্জন মাদার ট্রি রয়েছে। প্রধান প্রধান উদ্ভিদ গুলোর মধ্যে রয়েছে গর্জন, চাপালিশ, ডুমুর, জাম, তেলসুর, ঢাকিজাম, কড়েই বাঁশ ও বেত। প্রধান প্রধান পশু-পাখি গুলোর মধ্যে রয়েছে বুনো হাতি, মেছোবাঘ, বুনো শুকর, বানর, বন বিড়াল, খাটাশসহ নানান প্রজাতির বন্যপাণি; তিলানাগ ঈগল, সিঁদুরে সাহেলী, পাহাড়ী ময়না, গলাফোলা ছাতারে, বন মোরগ ইত্যাদি জাতের পাখি; গুইসাপ, হেজাসাপসহ বিভিন্ন বিরল প্রজাতি প্রাণি দেখার সুযোগ রয়েছে। বলতে গেলে এটি হাতির বিচরণ ক্ষেত্র। প্রায় ১৩ প্রজাতির উভয়চর প্রাণী, ৩০ প্রজাতির সরিসৃপ, ১৬৮ প্রজাতির পাখি ও ২১ প্রজাতির স্থন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। এখানে রয়েছে ঘুরে বেড়ানোর জন্য ট্রেইল, ট্রেইল দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আপনি দেখতে পারেন বনের প্রাকৃতিক দৃশ্য, বিভিন্ন ধরণের পাখি ও জীবজন্তু। তবে বন্য হাতি, শুকর ও অজগরের বিচরণ ক্ষেত্র হওয়ায় এখানে ঘুরতে চাইলে বাড়তি নিরাপত্তার জন্য ফরেস্ট স্কট ও ইকোগাইড নিয়ে যেতে হবে। এটি পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, এলাকার মানুষদের সংগ্রামী ও ঝুঁকিপূর্ণ জীবন আর বিশাল বৃক্ষরাজি দেখতে চাইলে এখনই উপযুক্ত সময়।

এখানে এ্যাডভেঞ্চার নিতে চাইলে রয়েছে ট্রি এক্টিভিটি। এটি একটি মজাদার ও রোমাঞ্চকর আউটডোর এক্টিভিটি। একে হাই রোপ এক্টিভিটিও বলা হয়। মাটি থেকে ৩০ ফুট উপরে এক গাছ থেকে আরেক গাছে বিভিন্ন কঠিন ধাপ অতিক্রম করাই ট্রি এক্টিভিটি। অত্যন্ত নিরাপদ ভাবে তৈরী এই এক্টিভিটি, এটি উপভোগ করতে বেশ কিছু নিরাপত্তা সরঞ্জাম (সেফটি হার্নেস, গ্লাভস, হ্যালমেট) ব্যবহার করা হয়। এই এক্টিভিটি করতে বেশ কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। মনে রাখতে হবে জীবনের জন্য রোমাঞ্চ, রোমাঞ্চের জন্য জীবন নয়। তাই যে কোন ধরণের রোমাঞ্চকর এক্টিভিটি সঠিক নিয়মেই করতে হবে।

রাতের বেলায় এ্যাডভেঞ্চার উপভোগের জন্য ক্যাম্পিং করার ব্যবস্থা রয়েছে। গহীন বনে তাঁবু খাটিয়ে রাত যাপন করতে পারবেন। প্রতিটি তাঁবুতে দুই জন থাকতে পারবে। এতে থাকার জন্য ম্যাট্রেস, স্লিপিং ব্যাগ, এয়ার পিলু (বালিশ), টেন্ট লাইট, চার্জার ফ্যান ও সোলার লাইটের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে এর জন্য সর্বনিম্ন ১০ জনের গ্রুপে আসতে হবে। আমাদের ২০ জনের ব্যবস্থা রয়েছে। এর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। নাস্তা ও খাবারের ব্যবস্থা বা রান্না ক্যাম্পেইনকারী নিজেদের ব্যবস্থাপনায় করতে চাইলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রয়েছে এবং রান্নার সরঞ্জামসহ সবকিছু ভাড়া নিতে পারবে। রান্নার ঝামেলা করতে না চাইলে স্বল্প মূল্যে মানসম্মত খাবার সরবরাহের ব্যবস্থাও রয়েছে।

পিকনিক করার জন্য মেদাকচ্ছপিয়া পিকনিক স্পট একটি আদর্শ স্থান। এখানে পানি, বিদ্যুৎ, গাড়ী পার্কিং, বসার জায়গা, অনুষ্টান আয়োজন করার জন্য স্থান, পর্যাপ্ত ওয়াশ রুম ও রান্না-বান্নার সু-ব্যবস্থা রয়েছে।

কি ধরনেক খরচ পড়বেঃ
এন্টি ফিঃ ১০ টাকা।
ট্রি এ্যাডভেঞ্চার এক্টিভিটি ফিঃ স্থানীয় ৫০ টাকা ও স্থানীয় ছাড়া ১০০ টাকা।
ক্যাম্পিং ফিঃ প্রতি তাঁবু ৫০০ টাকা (প্রতি তাঁবুতে ২ জন করে) এক রাত। ১০ জনের কম হলে সেক্ষেত্রে খরচ আনুপাতিক হারে বাড়বে। নিরাপত্তা প্রদানের জন্য আলাদা ফি দিতে হবে না, এর মধ্যে অর্ন্তভূক্ত।
খাবারঃ প্রতি মিল ১২০ টাকা (মেনুঃ সাদা ভাত, মুরগীর মাংস, মিক্সড সবজি/আলু ভর্তা ও ডাল) অথবা চাহিদা ও খাবার মেনু অনুসারে খরচ কম-বেশী হবে।
 ইকোগাইড সম্মানী জনপ্রতি ৫০০ টাকা।